Header Ads

এটিএন বাংলার সাবেক পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি মো: ফয়েজুর রহমান আর নেই

 

এটিএন বাংলার সাবেক পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি মো: ফয়েজুর রহমান আর নেই. . .।



মো: ফয়েজুর রহমান গতকাল ইন্তেকাল করেছেন, আজ দপুরে তাঁর জানাযা। ২০১৫ এর শেষ প্রান্তিক থেকে ২০১৭ এর জুলাই পর্যন্ত পটুয়াখালীতে কম্পিউটার কম্পোজের ব্যবসা ছিল আমার। ছোট ব্যবসায়ও পার্টনার ছিল। প্রবীন সাংবাদিক মো: ফয়েজুর রহমান তাঁর একমাত্র ছেলের জন্য আমার সাথে ব্যবসায়িক অংশীদার হয়েছিলেন। তাঁর ছেলে কিছুটা মানসিক সমস্যাগ্রস্থ ছিল। বাবা-ছেলে তাঁরা উভয়েই আমার সাথে কম-বেশী সময় দিত। তাঁর কারনে আমরা একটি ভালো দোকান পেয়েছিলাম।

আমি ব্যবসার আগে পার্ট টাইম-ফুল টাইম চাকরি করেছিলাম। ব্যবসার গতি স্লো হওয়ায়+ উচ্চ শিক্ষিত হওয়ায় পুণরায় চাকরি খুজছিলাম। তখন তিনি বলতেন “ আপনি ভালো চাকরি পেলে চলে যাবেন। আমার যা হওয়ায় হবে।”

উল্লেখ্য তিনি ছিলেন এটিএন বাংলার তৎকালীন জেলা প্রতিনিধি। স্ট্রোক করার কারণে তিনি তখন দায়িত্ব পালন করতে পারছিলেন না, নিয়মিত বেতন-ভাতা পাচিছলেন। এটিএন বাংলা থেকে তিনি চিকিৎসা খরচও পেয়েছিলেন। দীর্ঘ দিন কাজ করতে না পেরে আলোচনা করে তিনিই চাকরি ছেড়েছিলেন।

 

তিনি অসুস্থ হওয়ার কারনে তাঁর পক্ষে নতুন করে কিছু করা সম্ভব ছিল না। একমাত্র ছেলেটাও ছিল শারীরিক-মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত। আমার সাথে ব্যবসায় যুক্ত হয়ে/ ইনভেস্ট করে তিনি কিছুটা উপার্জণমুখী হতে চেয়েছিলেন। আমাদের ব্যবসা সীমিত হওয়ার কারণে আমি ২০১৭ এর জুলাই থেকে চাকরি নেই। আমার দোকান চলে আসার পর তাঁদের পক্ষে ব্যবসাটা আর ধরে রাখা সম্ভব হয়নি।

তাঁর একমাত্র কন্যা তখন স্কুল শিক্ষার্থী ছিল। নাতিটাও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিল। ব্যয়বহুল সংসার ছিল তাঁর, কিন্তু শেষ জীবনে তাঁর তেমন কোন উপার্জণ করার সুযোগ হয়নি। চাকরিতে ঢুকে তাঁর সাথে আর সরাসরি দেখা করার সুযোগ পায়নি। কয়েক বার মোবইলে কথা হয়েছিল। তিনি আমাকে তাঁর সাথে দেখা করতে যেতে বলেছিলেন, জীবন-যুদ্ধে এতটাই ব্যস্ত, যে সে সুযোগ আর হয় নি। জানি না কি বলতে চেয়েছিলেন তিনি।

পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সদস্য ফয়েজ ভাইর জাঁক জমকপূর্ণ জীবনের শেষ সময়ে ছন্দ-পতন হয়েছি। আজ তিনি আমাদের মাঝে নেই, আমি তাঁর জন্য জান্নাতুল ফেরদাউস কামনা করছি।

কোন মন্তব্য নেই

luoman থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.