মাওলানা মুহাম্মদ শামসুল হক ছাহেব রহ:
মাওলানা মুহাম্মদ শামসুল হক ছাহেব রহ:
দক্ষিণবঙ্গের বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন
আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুহাম্মদ শামসুল হক ছাহেব রহ:(ঝাড়াখালীর হুজুর) গত ১৫ রমযান
(২১ মে ২০১৯) তারিখ ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
মাওলানা শামসুল হক ছাহেব আনুমানিক
১৯৩৫ সনে বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের ঝাড়াখালী গ্রামে
জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দেশের ঐতিহ্যবাহী উজানী মাদরাসা (চাঁদপুর), হাটহাজারী
মাদরাসা (চট্টগ্রাম) ও ছারছীনা দারুসসুন্নাত কামিল মাদরাসায় অধ্যয়ন করেন। তিনি
মুজাদ্দিদে জামান হযরত কায়েদ ছাহেব হুজুর রহ: এর স্নেহভাজন ছাত্র ছিলেন। ঝাড়াখালীর
হুজুর ট্রিপল টাইটেল ডিগ্রির অধিকারী আলেম ছিলেন।
কর্মজীবনের শুরুতে তিনি পটুয়াখালী
জেলার কলাপাড়া উপজেলাধীন নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দৌলতপুর আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ ছিলেন।
পরবর্তীতে তিনি পশ্চিম চিলা আমিনীয়া ফাযিল
(ডিগ্রী)
মাদরাসার ( আমতলী,
বরগুনা
) সহকারী
অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৭ সনে তিনি অবসরগ্রহণ করেন। পূর্ব ঝাড়াখালী (তালতলী,বরগুনা) জামে মসজিদে তিনি
দীর্ঘ দিন খতিব হিসেবেও দায়িত্বপালন করেন।
অবসরগ্রহণের পরই তিনি পবিত্র হজ্ব
আদায় করেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি বার্ধক্য জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
মৃত্যুর সময় তিনি স্ত্রী ,৫ ছেলে ও ৭
মেয়ে রেখে যান। তাঁর সন্তানরা সকলেই সুশিক্ষিত। তাঁর ৫ ছেলেই চাকুরীজীবী এবং স্ব
স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তাঁর সকল জামাতাও সুপ্রতিষ্ঠিত।
তাঁর দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে অসংখ্য
ছাত্রের শিক্ষক হিসেবে ভক্তি-শ্রদ্ধার প্রতীক হয়ে ওঠেন । এছাড়া একজন আলেম হিসেবে
সাধারণ জনতার ভক্তি-শ্রদ্ধা ও ভালবাসা লাভ করেছিলেন। যা তাঁর জানাযায় ব্যাপক
জনসমাগম হওয়ার মাধ্যমে প্রমানিত হয়। আমরা আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি, আল্লাহ তাঁকে
জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন। তাঁর পরিবারবর্গকে তাঁর আদর্শে পথ চলার তাওফিক
দিন।
লেখাটি তৈরিতে মরহুমের ছেলে মাসিক
কায়েদ পত্রিকার কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মাওলানা
আবুল বাশার (https://www.facebook.com/abul.bashsr) তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন ।
কোন মন্তব্য নেই