পাক-ভারত-বাংলাদেশে তরীকতের সর্বোত্তম ছেলছেলা
পাক-ভারত-বাংলাদেশে তরীকতের সর্বোত্তম ছেলছেলা:
গ্রন্থটি মুজাদ্দিদে মিল্লাত হযরত কায়েদ ছাহেব হুজুর রহ.
এর বয়ানের সংকলিত রূপ:
এলমে তরীকতের পরিচয় প্রসঙ্গে হুজুর বলেন,‘ এলমে শরীয়ত অনুযায়ী
জীবন গঠনের নিমিত্ত এছলাহে নফ্ছের ( আত্ম-সংশোধনের ) প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য । এছলাহে
নফ্ছের জন্য যে সকল কর্মপদ্ধতি অবলম্বন বা আমল করিতে হয় তাহাকে বলা হয় এলমে তরীকত।
এক কথায় তরীকত হইল তাছাওফ বা শরীয়তের বাতেনী আমলসমূহের পদ্ধতি।
তরীকত মশক করিলে খোদার ফযলে ক্বলব ফাযায়েল বা সদগুণাবলী দ্বারা সুসজ্জিত ও রাযায়েল বা অসচ্চরিত্র
হইতে পরিস্কৃত হয়। ফলে
ক্বলবে এমন এক নূর পয়দা হয়-যাহার প্রভাবে মা’রেফাত ও হাকীকত হাছেল হয়।’
কায়েদ ছাহেব হুজুর রহ. ছেলছেলার পরিচয় নিয়ে বলেছেন,‘ ছেলছেলার
শাব্দিক অর্থ -শিকল বা শৃঙ্খল ; অন্য অর্থে -ধারা -পরস্পরা । অর্থাৎ -তরীকতের যে সমস্ত
শাখা-প্রশাখাগুলি তরীকতকে পর্যায়ক্রমে ধারণ করিয় আছে উহাই
ছেলছেলা।’
কিতাবটিতে বাংলাদেশের ছুন্নত তরীকার প্রচলিত ছেলছেলাগুলির
কতিপয় নাম এবং কতিপয় বেদয়াত তরীকার ছেলছেলার নামও উল্লেখ করেছেন, যা আমাদের হক-বাতিল
চিনতে সহায়তা করবে।
এছাড়াও গ্রন্থটিতে এলেমের প্রকারভেদ , যেকের , মোরাকাবা ও
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সম্মিলন ঘটেছে।
আল্লাহ আমাদেরকে কিতাবটি থেকে উপকৃত হওয়ার সুযোগ দিন।
alhamdulillah
উত্তরমুছুন