বিবাহ
বিয়ে হোক সহজ
মুসলমানদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হল ‘বিবাহ’। যৌবনের শুরুতেই ছেলে-মেয়েরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলে যৌনাপরাধ অনেকাংশে হ্রাস পাবে । জিনা-ব্যাভিচার কম হবে। অবৈধ সম্পর্কের ভয়াবহ পরিণতি থেকে সমাজ রক্ষা পাবে। অভিভাবকদের সন্তান-সন্ততিদেরকে উপযুক্ত বয়সে বিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা থাকা জরুরি। প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর প্রত্যেকেই নিজের চরিত্রকে পবিত্র রাখার জন্য বিয়ের পরিকল্পানা করা চাই এবং সময়-সুযোগমত বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া চাই। মনে রাখা চাই ক্যারিয়ার-পেশা যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তদ্রপ চরিত্রকে হেফাযতের জন্য উপযুক্ত বয়সে বিয়ে করার কোন বিকল্প নেই। বিয়েতে বিলম্ব হওয়র কারণে অনেক ছেলে-মেয়ে যেভাবে ইজ্জত হারায়, সাথে অভিভাবকরাও অপমানিত হয়। কখনো কখনো ইজ্জতহানিতেই সীমাবদ্ধ নয়, জীবনটাও হারাতে হয়। কোন কোন অবিবাহিত যুবকের উপার্জণের বৃহৎ অংশই কুপথে চলে যায়। সবশেষে বলা যায় , পিতৃত্ব-মাতৃত্বের স্বাদ নিতে হলে সভ্য সমাজে বিয়ের কোন বিকল্প নেই। আর বিয়েতে দ্বীনদারিকে প্রাধান্য দেওয়ারও কোন বিকল্প নেই। ব্যক্তিগত জীবনে ৪ বছরের বিবাহিত জীবনের (১৬/০৯/২০১৭-২০২০) অভিজ্ঞতা থেকে বলছি , “জীবনযুদ্ধে স্ত্রী সর্বোত্তম সঙ্গী”। ২ সন্তানের পিতা হিসেবে বুঝি, “সুসন্তান আল্লাহর সেরা উপহার”। বিয়ে সুন্নত মোতাবেক হোক, জীবন-যাপন হোক ইসলামী পন্থায়। রহমত-বরকতে আলোকিত হোক সকলের পূত-পবিত্র সংসার।
কোন মন্তব্য নেই